নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন। নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর অব্যাহত হত্যার হুমকী এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রচারণা থেকে দূরে রাখার অভিযোগ তুলে ১৫ ঘন্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন সোনালী আশ প্রতিকের এই প্রার্থী।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সন্ত্রাসী লোকজন তার এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে ভয়ে কেউ তার পোলিং এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে আমার প্রতিদ্বন্ধী নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু এমপি আমাকে চরিত্রহরণ, গালি-গালাজসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মিটিংয়ে হত্যার হুমকি স্বরূপ কথা বলে প্রচারণা থেকে ভয়ভীতি-হুমকি দেখিয়ে দূরে রেখেছেন। এ বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ করেও প্রচারণার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা পাইনি।
রোববার নির্বাচন, আজ শনিবার সারাদিন আমার নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন প্রতিটি গ্রামে আমার এজেন্ট না থাকার জন্য ভয়ভীতি, আতংক সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ করে সিল মারার পরিকল্পনা করছে। তাদের এই কৌশলগত ভয় ছড়ানোর কারণে কেউ এজেন্ট হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। আর তার সাঁজানো ডামি প্রার্থীরাও তাকে সহযোগিতা করছে। তাই আজ শনিবার ৬ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) ২০৫নং আসন থেকে নির্বাচন বর্জন করলাম।
দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। একটি নির্দলীয় সরকার ছাড়া এদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও হুমকি ভয়ভীতি বন্ধ হবে না। ভোটাররা ভোটের আগেই জানেন নজরুল ইসলাম বাবু এমপি থাকা কালীন তার অধীনে ভোট হচ্ছে। তাই পরাজয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। তিনিই এমপি থাকছেন এবং থাকবেন। এই প্রথা দুর না করলে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় লোকদের দিয়ে নির্বাচন করা এদেশের গণতন্ত্রের জন্য অতীব জরুরী। আর ঢাকা-৫ আসনে যেহেতু চলমান এমপি প্রার্থী নির্বাচনে নাই তাই এই ্আসনে প্রার্থী হিসেবে সরকার দলীয় লোকদের আচরণ, প্রশাসনের ভুমিকা, বুথের দৃশ্যপট ও ভোট প্রয়োগ পর্যালোচনা করে নির্বাচনে থাকা না থাকা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।