নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সালমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ কে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী মোহাম্মদ রূপচাঁন সহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে ) সকালে উপজেলার ভট্টপুর এলাকার একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সালমা বেগম ওই এলাকার মোহাম্মদ রূপচাঁন এর স্ত্রী ও সালাউদ্দিন মিয়ার মেয়ে।
আটকরা হলেন, নিহতের স্বামী মোহাম্মদ রূপচাঁন ও তার ভাই সুলতান মিয়া।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়ার মেয়ে সালমা বেগমের সাথে ভট্টপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রূপচানের ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আবদুল্লাহ আরবান কাইফি(১৬) ও খাদিজা আক্তার (৭) নামের সন্তান রয়েছে। ২০২২ সালে মেঘনা গ্রুপে চাকুরির সবাদে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে মোহাম্মদ রূপচান। ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য উঠে লাগে। বিষয়টি সালমা বেগম জানার পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে প্রায় সময় সালমা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করতো। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই রাতে কোন এক সময় সালমা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পার্শবর্তী একটি পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই রিপন খাঁন জানান, পরকীয়ার জের ধরে তার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামী রূপচাঁন। হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তার বোন সাঁতার জানতো। কিভাবে পানিতে ডুবে মারা যাবে?
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও তার ভাইকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।