বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী সুলতানা বেগম।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত রবিবার (২১ এপ্রিল) মাকসুদ চেয়ারম্যান কয়েকজন বন্ধুদের সাথে নিয়ে রাত ১১ টায় এই মামলার বাদীনি ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগমের পিত্রালয়ে আসে এবং ২০২২ সালের করা একটি যৌতুক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এসময় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। চেয়ারম্যান মাকসুদ তার স্ত্রীকে বলেন, ওয়ারিসি সম্পত্তি এখন বিক্রয় না করিলে পরে আর ওয়ারিস নেওয়া যাইবে না, তাই সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া মাকসুদ চেয়ারম্যানের হাতে দিলে তা ভাল ব্যবসায় কাজে লাগাবো এবং তাকে (এই মামলার বাদীনিকে) তুলে নিয়ে পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখিবেন ইত্যাদি বলে ফুসলাতে থাকে। এর সাথে পূর্বের যৌতুকের মামলাটি তুলে ফেললেই সুলতানা বেগম ও তাদের কন্যাকে নিয়ে সংসার করবেন বলে আশ্বাস দেন। এসময় মামলা তুলে নেয়ার জন্য বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন মাকসুদ চেয়ারম্যান। যৌতুক মামলা তুলে না নিলে খুন করে ফেলবেন বলে স্ত্রীর দিকে তেড়ে আসেন তিনি। এঘটনায় তাদের মেয়ে শ্রাবন্তী বাধা দিলে লাথি দিয়ে সড়িয়ে দেন এবং স্ত্রীকে মারপিট শুরু করেন। মাকসুদ চেয়ারম্যান তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দ্যেশে গলায় পাড়া দিয়ে ধরলে আবারও মা’কে বাচাতে আসেন তাদের মেয়ে শ্রাবন্তী। পরবর্তীতে ২ জনকেই প্রহার করে এবং ‘যৌতুক দিবি না আবার মামলা করবি, মেরে মাটিতে পুতে ফেলবো’ বলে হুমকি প্রদান করেন মাকসুদ চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় মাকসুদ চেয়ারম্যান তার স্ত্রী ও ৪ কন্যা সন্তানকে নির্যাতন করেন বলে উল্লেখ করা হয়।