ফতুল্লায় দেনা পাওনার জের ধরে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) নামে এক রাজমিস্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় মাসুম মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ৫ মাস পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) ভোরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ মধ্য পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঐ এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়৷ সে ফতুল্লার পাগলা নুরবাগ এলাকায় বসবাস করতো। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিল। রাজ্জাক মারা যাওয়ার ৫ মাস আগে তার স্ত্রী মারা যায়৷ তিনি ২২ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে আকাশকে নিয়ে নুরবাগ পাঁচতলা ভবনের ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকতেন।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকারীকে সনাক্ত সহ গ্রেপ্তার করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। হত্যাকারী প্রতিনিয়ত স্থান ত্যাগ করার ফলে ধরতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ওসি স্যারের পরামর্শে কৌশল পরিবর্তন করায় মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আর মাসুম কেন এবং কিভাবে রাজ্জাক মিয়াকে হত্যা করেছে তা পুলিশের কাছে তা শিকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, ঘাতক মাসুম মিয়া আর রাজ্জাক পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাধে তারা দুইজন পাগলা নুরবাগ এলাকায় বসবাস করায় তাদের মধ্যে আরো সুসম্পর্ক তৈরি হয়। মাসুম মিয়া নুরবাগে একটি টং দোকান দিয়ে জালমুড়ি বিক্রি করতো। আর রাজ্জাক রাজমিস্ত্রী কাজ করতো। মাসুম মিয়ার দোকানে রাজ্জাক মিয়ার আসা যাওয়া ছিল। তাদের সম্পর্কের সুবাধে রাজ্জাকের কাছ থেকে লাভের উপরে ৫ হাজার লোন নেয় মাসুম।
এই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়। টাকা না দেয়ার কারণে মাসুমের টং দোকান তালা মেরে দেয় রাজ্জাক। আর গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ বিকেলে মাসুম দোকানের চাবি আনতে রাজ্জাকের বাসায় যায়। ঐ সময় তাদের পাওনা টাকা নিয়ে জগড়া সৃষ্টি হলে মাসুম ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে রাজ্জাককে হত্যা করে। পরে তার হাত পা বেধে ঘর তালা মেরে পালিয়ে যায় মাসুম। আর দীর্ঘ ৫ মাস পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিবে।