জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা নেই কিংবা দলের হয়ে কাজ করার ইচ্ছে নেই; পদ নিয়ে বসে থাকা এমন নেতাদের বিরুদ্ধে ‘শুদ্ধি অভিযানে’ নামবে আওয়ামী লীগ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে চলবে এ অভিযান।
দলীয় সূত্র বলছে, সবচেয়ে বেশি কপাল পুড়বে কাশিপুর, ফতুল্লা, কুতুবপুর ও এনায়েতনগর ইউনিয়নের নেতাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফলের ভিত্তিতে খুবই শীঘ্রই অভিযানটি শুরু হবে। এতে সরাসরি নেতৃত্ব দিবেন আসনটির সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। ইতোমধ্যেই নেতাকর্মীদের কঠোর এই বার্তাটি দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: মানুষকে না খাইয়ে মারার ষড়যন্ত্র হবে: শামীম ওসমান
গত ১ দশকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এত উন্নয়নের পরেও আসনটির ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন ভোটারের মধ্যে মাত্র ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭টি ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য। এ জন্য তিনি বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করলেও নেতাকর্মীদের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন।
ফতুল্লায় নির্বাচনী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বুধবার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজ দিয়ে শুধু ভোট হয় না। এটা আপনারা টের পেয়েছেন। মেইন ভোট হয় সংগঠন আর মানুষের সাথে ব্যবহার দিয়ে। আমরা উন্নয়ন করেছি ঠিকই কিন্তু নেতা মানুষের সাথে থেকে বা ছবি তুলে এলাকার মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছবি তোলার মানে নেতা নয়, নেতা সে- যার ডাকে মানুষ সাড়া দেয়। আমরা ভোট কেন্দ্র ও কেন্দ্র অনুযায়ী কমিটি নিয়ে এনালাইন্সে করছি। ওয়ার্ড অনুযায়ী আপনাদের সবাইকে নিয়ে বসবো। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নেতাদের জিজ্ঞাস করবো- কেন ভোট কম পরলো, কি কারণে ওই এলাকার মানুষকে বের করে নিয়ে আসলেন না, নাকি আনতে পারলেন না, কিংবা আনার মতো গ্রহণ যোগ্য তা নাই, তা খতিয়ে দেখবো।
শামীম ওসমান বলেন, যেখানে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আনতে চেয়েও উপস্থিত করতে পারেনি, সেখানে আমরা বারবার যাবো আর যেখানে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করতে নেতারা চেষ্টা করেনি কিংবা আনার মতো গ্রহণ যোগ্যতা নেই, সেখানে যে ভোটার উপস্থিত করতে পারবে, তাকে দায়িত্ব দিবো। মুরুবী হয়েছেন বলে চেয়ার দখল করে রাখবেন, তা হবে না।
শামীম ওসমান বলেন, এই সিট আওয়ামী লীগের আমানত, এই সিট শেখ হাসিনার আমানত, এই সিটকে আগামীতে ঠিক রাখার জন্য যদি কোন খারাপ মানুষ থেকে থাকে, আমি তাকে আমার সাথে রাখবো না। এখানে এসে ভালো সাজবেন, এলাকায় গিয়ে গুন্ডামী করবেন, আমি তাদের রাখবো না।