নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর তৃণমূল বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই কমিটি দুটোর অনুমোদন দেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ড. তৈমুর আলম খন্দকার।
আগামী ১২০ দিনের মধ্যে দুটি কমিটিকে কো-অপ্টের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন এবং থানা উপজেলা পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার শর্ত দেয়া হয়।
মোহাম্মদ আলী ভুঁইয়া মেম্বারকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম রোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা তৃণমূল বিএনপির আংশিক কমিটি এবং অ্যাডভোকেট আলী হোসাইনকে আহ্বায়ক ও সাজিদ খান সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর তৃণমুল বিএনপির কমিটির অনুমোদন করা হয়।
জেলা কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন মাওলানা মজিব উল্লাহ, আব্দুল হাই চৌধুরী, কামাল খান, জয়নাল আবেদীন, আমির হোসেন মিয়া, মোতাহার হোসেন ও বুলু আহমেদ ভুঁইয়া।
অন্যদিকে মহানগর কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান রবি, সদস্য পদে শফিকুল ইসলাম, আশরাফ আহমেদ, নুরুল ইসলাম রাজ, হারুন আহমেদ, অনিক আহমেদ ও মোহাম্মদ জুয়েল।
বিবৃতিতে ড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি রাজপথের কর্মী, রাজপথে ছিলাম আছি থাকবো, রাজপথেই যেনো আমার মৃত্যু হয়। জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, রাজপথে গুলি খেয়েছি, পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছি, তবুও দলের ব্যানার ছেড়ে রাজপথ থেকে যাইনি। এখন আমি তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি, রাজপথেই থাকবো, এই দলের রাজনীতিই করবো, তৃণমুল বিএনপি নামক দলটিকে দেশের সকল মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে চাই। তৃণমুল বিএনপিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এটাই আমার লক্ষ্য, এর বাহিরে আর কোনো চিন্তা নাই।
তিনি সকলের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কারো কোনো কথায় কিংবা গুজবে কিংবা অপপ্রচারে তৃণমুল বিএনপি পিছু হটবে না। আমরা সারাদেশে তৃণমুল বিএনপির কমিটি গঠন শুরু করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে আংশিক কমিটির অনুমোদন করা হলো। এই কমিটি পর্যায়ক্রমে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি থানা উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করবে।