পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামী পলাতক ছিলেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম আশরাফুল আলম। সে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। ঘটনার সময় তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই পোশাক শ্রমিক তার স্বামীর সঙ্গে সিদ্বিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ভাড়াবসায় থাকতেন। কাজ করতেন লিথি এ্যাপারেলস গার্মেন্টসে।প্রতিদিন সকালে কারখানায় গেলেও ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ঘরের ময়লা জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য ওই দিন তিনি কাজে যাননি। দুপুরে তার স্বামী ও বড়ভাইয়ের স্ত্রী খাওয়ার জন্য এসে দেখে ঘরের দরজা খোলা এবং খাটের উপরে ওই নারীর নগ্ন মরদেহ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মশিউর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, মৃত নারীর প্রতিবেশী আশরাফুল আলম ওইদিন ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ মামলার একমাত্র আসামী আশফুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের রায়ে আসামি আশরাফুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।