সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা জমে উঠেছে। তবে, ভিন্ন চিত্র শুধু সদরে। গত ১৫ বছরের মতো এবারও নির্বাচন হচ্ছে কি না, তা নিয়ে নানা দ্বিধাদন্ধ রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিষয়টি পরিস্কারে স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে দায়েরকৃত মামলাটির কারণে এবারও নির্বাচন করা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠিত হলে সদর উপজেলার কিছু অংশ সিটি কর্পোরেশনে চলে যায়। উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (২০০৯ সনের ৩০ জুন সংশোধিত) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সদর উপজেলা পুর্নগঠন করে। ২০১৪ সালের ৪ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এ গেজেট অনুযায়ী কয়েকটি এলাকা বাদ দিয়ে উপজেলার নতুন সীমানা নির্ধারণ হওয়ায় উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়। যার পিটিশন নং-৩০৮৯। এ রিট করেন ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ির মৃত সুলতান বক্স চৌধুরীর ছেলে মো. আসাদউদ্দিন চৌধুরী, পশ্চিম মাসদাইরের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে বজলুর রহমান ও কাশিপুর উত্তর গোয়ালবন্দের হেলালউদ্দিন মুন্সীর ছেলে মো. হামিম মুন্সী।
সূত্রমতে, রিট আবেদনকারী প্রত্যেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের লোক হিসেবে পরিচিত। আর তাদের করা সীমানা সংক্রান্ত এই মামলার অজুহাতে নির্বাচন না হওয়ায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি যে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে দায়েরকৃত মামলাটি এখনো চলমান আছে। মামলা থাকার কারণে নির্বাচন করা যাচ্ছে না।
অন্যাদিকে, ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চতুর্থ ধাপে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পঞ্চম ধাপে হয় বন্দর উপজেলা নির্বাচন। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আড়াইহাজারে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, সোনারগাঁ উপজেলায় আওয়ামী লীগের উপজেলা সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন নির্বাচীত হন। আর বন্দরে নির্বাচিত হন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ। ২০২১ সালে ২২ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মারাগেলে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচীত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই নির্বাচনে অংশ নিতে দৌরঝাপ শুরু করেছে প্রার্থীরা।