বন্দর উপজেলা অভিযান চালিয়ে ১৫ টি ইটভাটা কে ৫৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এসব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কেওঢালা এলাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামজীদ আহমেদ ।
জরিমানা করা ইটভাটা গুলো হলো -মেসার্স আওলাদ ব্রিকস , মেসার্স রূপা ব্রিকস ও আনন্দ ব্রিকস অ্যান্ড কোং কে ৬ লাখ এবং আল মদিনা ব্রিকস (বি আর বি), মেসার্স আল্লাহ ভরসা ব্রিকস, মেসার্স আল্লাহ মহান ব্রিকস, মেসার্স ভূইয়া ব্রিকস, মেসার্স নেশনাল ব্রিকস, মেসার্স দেওয়ান ব্রিকস অ্যান্ড কোং, মেসার্স আল্লাহর দান ব্রিকস, মেসার্স খান ব্রিকস, মেসার্স এস কে বি, মেসার্স সোনারগাঁ টাটা ব্রিকস, মেসার্স সেভেন জিরো সেভেন, মেসার্স টু এস বি ব্রিকস কে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এসব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মেসার্স আওলাদ ব্রিকস , মেসার্স রূপা ব্রিকস ও আনন্দ ব্রিকস অ্যান্ড কোং এর চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামজীদ আহমেদ । তিনি বলেন, পবিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, মাটি ব্যাবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র না থাকায় এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫৪ লাখ টাকা জরিমানা সহ সবগুলো ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক শেখ মুজাহিদ বলেন, অভিযান পরিচালনা করে ১৫ টি ইটভাটায় ৫৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিনটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই জেলায় ২৪৪ টি ইট ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ১২০ টির অধিক ইট ভাটা আদালতে রিট করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া অবৈধ ৪২ টি ইট ভাটার বিরুদ্ধে আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করছি।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম উপস্থিত ছিলেন।