আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠতে পারে। ফলে এসব এলাকায় নিম্নাঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে। সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীতে বন্যা আকস্মিক। গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে ভারতের বাঁধ খুলে যাওয়ায় নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার উপরে চলে গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব অঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই, তবে বৃষ্টি কমলে কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও গোমতী নদীর পানি সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠতে পারে, ফলে গোমতী নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতলে কিছু জায়গায় বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হতে পারে, ফলে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপরে চলে গেছে। কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, এবং পানি বাড়ছে নোয়াখালী অঞ্চলেও।