বন্দরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সবুজ প্রধান(২৯) ও সাজিদ প্রধান(১৮)দুই সহোদরকে দু’দফা কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে উঠতি কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম.তুহিন ও শাকিলসহ তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা।
গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে বন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের মধ্যে সবুজ প্রধানকে গুরুতর অবস্থায় নবীগঞ্জস্থ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বেলা ১২টায় ব্যাডমিন্টন খেলার বাঁশ নিয়ে বন্দর দক্ষিণ কলাবাগ এলাকার জসিম উদ্দিন প্রধানের ছেলে সাজিদের সঙ্গে একই এলাকার খাজা মিয়ার ছেলে রুবেল,আমেনার ছেলে রোমান,আলী মিয়ার ছেলে হোসেন,মানিকের ছেলে আলম,মনিরের ছেলে আনাস,রুবেলের ছেলে শান্ত,নূরউদ্দিনের ছেলে তুহিন ও তাদের সহযোগী রাব্বির তর্ক হয়। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিতে রূপ নিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সবাই মিলে সাজিদকে বেদম মারধর ও গালমন্দ করে। সাজিদ এর প্রতিবাদ করলে উল্লেখিতরা তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে থেতলানো জখম করে। ছোট ভাইয়ের ডাক চিৎকারে তাকে উদ্ধারে বড় ভাই সবুজ প্রধানসহ অন্যান্যরা ছুটে এলে হামলাকারীরা সবুজ ও তার ভাইকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আহত সাজিদকে ধরাধরি করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনার বড় ভাই সবুজ প্রধান বন্দর থানায় অভিযোগ করে সন্ধা ৭টায় ছোট ভাইয়ের জন্য অষুধ নিয়ে ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে নূরউদ্দিনের ছেলে নাঈম,তুহিন ও শাকিলসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা প্রথমে সবুজকে তলোয়ার দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। প্রাণরক্ষার্থে সবুজ ধস্তাধস্তি করলে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে মাটিতে ফেলে আটকে রেখে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যার জন্য উদ্যত হলে সবুজ সন্ত্রাসীদের সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালানোর সময় তারা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে আহতের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে সবুজকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও সন্ত্রাসীরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আহত সবজু ও সাজিদসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।