রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর থেকে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জে রাতের একটি ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি স্টেশন ও ট্রেনে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তবে, কেন ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে; নারায়ণগঞ্জ স্টেশনের মাস্টারের কাছ থেকে এ প্রশ্নের সঠিক জবাব মেলেনি ।
নারায়ণগঞ্জ স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম খান শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে, রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, যাত্রী সংকটের কারণে ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার পর ট্রেনটি থামে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এসে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায়। আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতে ক্ষতিগ্রস্ত মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক খালেদ মোশারফ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জে রাতের একটি ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম খান শুক্রবার রাতে বলেন, ২-৩ দিন আগে রাতের একটি একটি ট্রেন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ৮ টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে আসতো নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ছাড়া হতো রাত সাড়ে ১০ টায়। ট্রেনটি কেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ রেলপথে ব্যাপক নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে বলে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান। তিনি জানান, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে ও লাইনে আনসার ও পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনেও অবস্থান করছে রেলওয়ে পুলিশ। এ পথে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে, মুখলেছুর রহমানের দাবি ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে যাত্রী সংকটের কারণে।