রাত পোহালেই ভোট। কি হবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে? কে জিতবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কলেজছাত্র ফতুল্লার আবির হোসেন একথায় বলে উঠলেন শামীম ওসমান। তিনি বলেন, এবার কিন্তু শামীম ওসমান কারও কাছে ভোট চাননি। কেউ বলতে পারবেন না তিনি কারও কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। তারপরও তিনিই অপ্রতিদ্ধন্ধি।
আমরা আমাদের প্রয়োজনে তাকে ভোট দিবো। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ণে তার অবদান চীরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। শুধু উন্নয়ণ নয়, এলাকার শান্তি-শৃংখলা রক্ষা, সন্ত্রাস, মাদক, ভূমিদস্যুতা নির্মুলে তিনি এবার পবিত্র কাবা শরীফে গিয়ে ওয়াদা করেছেন। এবার নারায়ণগঞ্জ মাদক ও সন্ত্রসমুক্ত হবেই।
জানা গেছে, শামীম ওসমান আসনটিতে তিনবারের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯৬ সাল এবং গত দুই জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবারও ওসমান পরিবারের এই সদস্যকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন শিল্প ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ আসনের মোট ভোটার ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন।
এ আসনে শামীম ওসমানের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী (সোনালী আঁশ) আলী হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী (ডাব) গোলাম মোরশেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী ছৈয়দ হোসেন (মশাল), জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপ ফুল) মুরাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) শহীদ উন নবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (চেয়ার) হাবিবুর রহমান। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন। পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান তিনি।