নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আজকে ১ নং ওয়ার্ডে আলিমুদ্দিনের ছেলে পনির প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে জনপ্রতি তিন হাজার করে টাকা দিচ্ছে এই টাকা দিয়ে তারা ভোট কিনছে। আর যারা টাকা নিতে অস্বীকার করছে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনেরা হুমকি দিয়ে বলছে, ওরা এক ভোট পেলেও নির্বাচনে বিজয়ী হবে। তদের ভোটের প্রয়োজন নেই, ওরা উপর থেকে ভোট নিয়ে নেবে।
শনিবার (২২ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ টেকপাড়া এলাকায় গণসংযোগ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি, নির্বাচন শতভাগ ফেয়ার হবে। তবে একটাই আশঙ্কা বহিরাগতরা। আপনারা জানেন এমপি গাজী সাহেবের ছেলের এপিএস হীরা প্রত্যেকদিন ৪ নং ওয়ার্ডে অফিস করছে । এই হীরা কে আপনারা জানেন? সে একজন অস্ত্রবাজ ও অস্ত্রধারী। সে কয়েকবার অস্ত্র নিয়ে ধরা পড়েছে। এই অস্ত্রবাজ হীরা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। তবে তার হুমকিতে আমার নেতা কর্মীরা ভয় পায় না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষের প্রার্থীর সাথে যারা গণসংযোগ করছে তারা কেউ এখানকার ভোটার না, তারা সবাই বহিরাগত। এমনকি পাপ্পা গাজী সহ হীরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে নিয়ে গণসংযোগ করছে। তারা আমাদের ভোটার ও লোকজনদের নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে একাধিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটা এতো মগের মুল্লুক না। এই কাঞ্চনে কোন অপশক্তির বিজয় হবে না।
এর আগে, গত রবিবার (১৬ জুন) কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশার লিফলেট ও ভোটার স্লিপ দিয়ে জনপ্রতি ৫’শ টাকা বিতরণ করে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার বেশ কয়েকটি স্থির চিত্র (ছবি) ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ঘটনাকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জগ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন রফিকুল ইসলাম রফিক ও মোবাইল ফোন প্রতীকে দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা।