নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, আমাদের অস্ত্র হবে আমাদের ভোট। যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আপনাদের ভোটকেন্দ্রের উপস্থিতি হবে ওদের জবাব। আপনারা বুঝিয়ে দিবেন আমরা এই নৃশংসতার বিচার চাই।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দেয়া হল। সেখানে চারজন মানুষ পুড়ে মারা গেছে। আমরা এই নৃশংসতা দেখে চুপ করে থাকলে বলা যায় না ভবিষ্যতে আমার সন্তান সেই নাশকতায় পড়বে কীনা। আমরা এই নির্মমতাকে বাংলাদেশ থেকে সারা জীবনের জন্য উঠিয়ে দিব। যখন ওরা পেট্রোলবোমা মারে তখন গাড়িতে কে আছে তা দেখে না। আমরা যদি নৃশংসতা দেখে চুপ করে থাকি তাহলে আমাদের সন্তানরা নিরাপদ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, এবার আমরা ভোট চাইছি শুধু উন্নয়নের কথা বলে নয়৷ এবারের ভোট আলাদা। বিগত কিছুদিনে বিএনপির দুর্বৃত্তরা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৩/১৪ সালে পাঁচশ মানুষ আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। ওরা নাকি জনগণের জন্য আন্দোলন করে। সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে জনগণের জন্য কিসের আন্দোলন। আমি সেটার বিচার আগে চাইব, তারপর ভোট চাইব।
তিনি বলেন, আপনার ভোট মূল্যবান, কারণ একটা ভোট দিয়ে আপনি উন্নয়নে শামিল হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল করে দেখিয়েছেন। আমরা যদি এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা না করি তাহলে হেরে যাবো, জিতে যাবে অগ্নিসন্ত্রাসীরা। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাইলে আমরা ভোটকেন্দ্রের যাবো, ভোট দিবো। যদি মনে করেন উন্নয়ন হয়েছে, তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আপনারা বিবেচনায় ভুল করলে আমাদের সন্তানেরা কষ্ট পাবে। শামীম ওসমান সাহেব এবার হজ্জ করতে গিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করবেন। তার জন্য একটা ভোট আমি আপনাদের কাছে দাবি করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পুত্র ইমতিনান ওসমান অয়ন, সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এহসান কবির রমজান, শাহজাহান, ইয়াসিন মিয়া সহ প্রমুখ।