প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে আসছেন বৃহস্পতিবার। তার আগমনকে কেন্দ্র করে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। শহরের একেএম শাসুজ্জোহা ষ্টেডিয়ামকে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিপুল লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
দ্বাদশ নির্বাচনের সর্বশেষ প্রচারণা ৪ জানুয়ারী সমাপ্ত হচ্ছে। এদিন নারায়ণগঞ্জে বিশাল জনসভায় ভাষন দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় সভানেত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো শহরকে ব্যানার ফেষ্টুন দিয়ে নবসাঁজে সজ্জিত করা হয়েছে। শহর, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জসহ পুরো জেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে দলে দলে জনসভায় আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। জনসভাস্থল একেএম শামসুজ্জোহা ষ্টেডিয়ামকে ঘিরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পুরো এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসএসএফ। তাদের পূর্ণ সহযোগীতা করছেন নারায়ণগঞ্জের আইন-শৃংখলা বাহিনী।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন মানে হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। এসএসএফ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাদের সাথে কাজ করছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন। আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।
এদিকে বুধবার (৩ জানুয়ারী) দুপুরে অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেন, প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই গণতন্ত্র ও মানবতার মা জাতির জনকের কন্যাকে তিনি নির্বাচনী শেষ প্রচারণার জন্য নারায়ণগঞ্জকে বেছে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জন্মজেলা নারায়ণগঞ্জকে আবারও মুল্যায়িত করলেন। এমনিতেও তিনি নারায়ণগঞ্জকে সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার দিয়ে আসছেন সব সময়। নারায়ণগঞ্জের জন্য আমরা যা চেয়েছি তিনি তারচেয়েও বেশী দিয়েছেন। দুটি হাসপাতালকে মিলিয়ে মেডিকেল কলেজ চেয়েছি, তিনি আলাদা মেডিকেল কলেজ দিয়ে দিয়েছেন। গত ১০ বছরে নারায়ণগঞ্জে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন মেঘা ও ছোট-বড় প্রকল্প দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাওয়া থাকবে মেট্রো রেল। নারায়ণগঞ্জ যানজট চীরতরে নিরসনকল্পে এই মেট্রোরেল চাইবো। আর আর যা চাওয়ার ছিলো তারচেয়েও বেশী দিয়ে দিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ণের মূল রুপকার প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৪ জানুয়ারী বরন করতে সবাই প্রস্তুত। আশাকরি সর্বকালের রেকর্ডভাঙ্গা গণজোয়ার হবে ওইদিন। চাষাড়া থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারন্য হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের মাত্র ছয়দিন আগে ২৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসদাইরে ওসমানী স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন। বিশাল সেই জনসভায় জেলার পাঁচটি নির্বাচনী আসনে মহজোট প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণার জনসভায় প্রধাণ অতিথি ছিলেন তিনি।