নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইট-বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে (৬৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার দুই ছেলেসহ চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে কাশিপুর আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং অটোরিকশাচালক মো: রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।
নিহত সুরুজ মিয়ার ভাগিনা নুর হোসেন লিখন জানান, তাদের বাড়ি ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে। তাদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সাথে তাদের বিরোধ ছিল। এ ছাড়া, সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা দাবি করে। ওই ভবনের মালিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এটি নিয়ে সুরুজ মিয়া হিরা ও সালুকে শাসন করেন।
তারা আরো জানান, এর জের ধরে এলাকার মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে গেলে সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আঘাত করে ঘাতকরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুরুজ মিয়াকে প্রথমে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওযা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া তার ছেলে সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের টিম কাজ করছে।