বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটগুলোতে চলাচল করা লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযানের ব্যাপারে এখনও এমন কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক : ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক : ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী
বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ নিয়ে আবহাওয়া সংকেত অনুসরণ করতে হবে। উপকূলে নৌচলাচল বন্ধ থাকবে। নৌচালকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার এবং নৌযান নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, বাড়ছে শক্তিও। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তোলা হয়েছে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত।
ভূমধ্যসাগর থেকে ১৯ বাংলাদেশি উদ্ধারভূমধ্যসাগর থেকে ১৯ বাংলাদেশি উদ্ধার
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
ইতিমধ্যে সাগরে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। আগামী এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে সংকেত বাড়বে এবং রাতেই বিপৎসংকেত দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হানতে পারে।