যানজট নিয়ন্ত্রণ যদি ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকে, তাহলে ফুটপাতে হকার কার হাতে? এটা কি মাসলম্যানদের হাতে? এই দখলকারীরা কারা? এরা কি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা?
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নাগরিক সমস্যা সমাধানে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের মধ্যে স্বজনপ্রীতি একটু বেশি। চোখের পর্দা উল্টানো না গেলে আলোচনা করে লাভ হবে না। আমাদের কঠোর হতে হবে।
তিনি বলেন, হাইস্কুল ও নারায়ণগঞ্জ কলেজে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের জান বের হয়ে যায় পরীক্ষা থাকলে। আমরা বাস কিনে দিয়েছি। কিন্তু কলেজ গেটে বাস কোথা দিয়ে যাবে? কেন এই রাস্তা বারবার উচ্ছেদ করার পরেও কাঁচাবাজার বসে সেখানে? এগুলো শক্ত হাতে প্রতিহত করতে পারলে বসব, নয়ত আমরা বসব না, যোগ করেন সেলিম ওসমান।
সেলিম ওসমান আরও বলেন, এখানে কোন রাজনীতি থাকবে না। রাজনীতি একটাই, নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শান্তিতে চলাচল করতে দিতে হবে। আমরা মেয়রকে অবশ্যই সহযোগিতা করব। আমরা করোনার সময়ও করেছি। আমরা স্কুল করেছি, কিন্তু বাচ্চারা স্কুলে যায় কিনা খবর রাখতে পারি না। আমরা একসাথে বসব স্বেচ্ছাসেবী নেব। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা নারায়ণগঞ্জে কোনো সমস্যা রাখব না। আমার মেয়র আইভীকে নিয়ে আমার ছোট ভাই শামীম ওসমানকে নিয়ে আমরা এটা করব। শামীম ওসমানকে আমরা শক্তি হিসেবে কাজে লাগাব, যোগ করেন তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমির খসরু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল প্রমুখ।