ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যখন আবাসিক গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে তখন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রকাশ্যে সড়ক কেটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের সিএসডি চকে প্রকাশ্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার খবর পেয়ে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এএস আই মনির ঘটনাস্থলে আসার খবর পেয়ে লোকজন পালিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪নং মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকনের ছত্রছয়ায় তাঁর ভাই পাবেল, একই এলাকার নরুল ইসলাম প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আরসিসি রাস্তা কেটে এসব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ২৩নং ওয়ার্ডের সিএসডি চকে প্রকাশ্যে আরসিসি রাস্তা কেটে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কাজ শুরু করেছে। ওই সময়ে গ্যাস সংযোগ কাজের নেতৃত্বে দিয়েছেন মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকনের ভাই পাবেল। কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এএস আই মনির। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য পাবেল গাড়িতে করে কাউন্সিলর শাওন অংকনের অফিসে নিয়ে চলে যায়। সেখানেও পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্ঠা চললেও শেষ পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকে।
অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকন জানান, আমি আমার ভাইকে বলে দিছি, সে যেনো ওখানে না যায়। সকালে গ্যাস সংযোগ দেয়ার সময় পুলিশ গিয়েছে সেখানে আমার ভাই যারা কাজ করছে তাদের ছাড়িয়ে নিতে গিয়েছিলো, যেনো তারা আর কাজ না করে।
এ ব্যাপারে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা বলেন, আরসিসি রাস্তা কাটার অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। এখনি আমি লোক পাঠিয়ে খবর নিতেছি, প্রয়োজনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাবে। আমি শুনেছি সেখানে পুলিশ আসছে, আমি তাকে ফোন করে বলে দিয়েছি রাস্তা কেটে যারাই গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে তাদের সবাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যাবেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করবো বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মনির হোসেন জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছার টের পেয়ে লোকজন পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি।