ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমি আজকে আসার সময় শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউটের কাজটি পরিদর্শন করে এসেছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটা দৃশ্যমান হবে। ছয় বছরের মধ্যে এখানে বিল্ডিং হবে। তখন হাজার ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে এখানে। নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে বসে তারা বড় বড় দেশের আউটসোর্সিং করবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তারা নেতৃত্ব দেবে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে শহরের কালিরবাজার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের (প্রধানমন্ত্রীর পুত্র) নির্দেশনায় আমরা সারা দেশে সকলের কাছে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছি। ফলে আজকে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ৬ লাখ ৯০ হাজার ফ্রিল্যান্সার, ৫০ হাজারের অধিক কল সেন্টারের এজেন্ট, ৫০ হাজারের অধিক ছেলে-মেয়ে হার্ডওয়্যার ম্যানুফেকচারে কাজ করছে। গত ১৫ বছরের ব্যবধানে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার সহ সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ২০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, সন্ত্রাস কবলিত, একটা উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকা। অথচ আজকে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে আমি রওনা করে নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪০ মিনিট। এটাকি আজ থেকে ১৫ বছর আগে কল্পনা করা যেতো?
নারীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমি এখানে এর জন্য তিনজন নারীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য আমি এখানে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আরেকজন নারী হলেন আমার মা যিনি আমার চোখে পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আরেকজন হলেন আমার অর্ধাঙ্গিনী। সে নিজে ছাত্র জীবনে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেছিল। ২০০১ সালে যখন মামলা মাথায় পালিয়ে থাকতে হয়েছে তখন আমার স্ত্রী আমাকে সাহস যুগিয়েছে। আজ নারী দিবসে এ তিন নারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে অন্যায় হবে।
অনুষ্ঠান শেষে জেলার ২৬৫ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীকে সরকারি্ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দনশীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।