জিলহজ (আরবি: ذو الحجة) ইসলামি বর্ষপঞ্জির ১২তম বা শেষ মাস। এটি মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কেননা এই মাসে বিশ্ব মসলিম উম্মাহ হজ পালন করেন। এবং জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মুসলমানদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়।
পবিত্র এ মাসে যেকোনো ভালো আমলের বিশেষ সওয়াব রয়েছে। পবিত্র কোরআনুল কারিমে সূরা ফজরে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের শপথ করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘যেন তারা কল্যাণকর স্থানগুলো পরিদর্শন করে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে তিনি রিজিক হিসেবে তাদের যে চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন তাতে যেন আল্লাহর নাম স্মরণ করে, অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ ও অভাবগ্রস্তদের আহার করাও’। (সূরা: হজ, আয়াত: ২৮)
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত ও ইবাদত–
জিলহজ মাসের নামকরণ থেকেই আমরা বুঝতে পারছি এটি হজের মাস। হজের সব কাজই এই মাসে হয়ে থাকে। তাই, এই মাসটি জিলহজ মাস নামেই পরিচিত। এই মাসের প্রথম ১০দিন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এই ১০ দিনের ফজিলত যে এত বেশি এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। তাই বুঝতে পারি না ঠিকঠাক মতো।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এই ১০ দিনের ইবাদত নিয়ে বলেন, এই ১০ দিনের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যে ভালো কাজ করবে সেটার চেয়ে প্রিয় আর আল্লাহর কাছে কিছু নেই। এই ১০ দিনের যেকোনো আমল আল্লাহর কাছে প্রিয়। এই দিনগুলোর জন্য বেশি বেশি করে আল্লাহর তাকবির দিতে হবে। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে তাকবির দেওয়া সুন্নত।
এ ছাড়া রাসূলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত যে আমল করতেন সেটা হলো রোজা। রাসূলুল্লাহ (সা.) ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখতেন। কেউ ৯ দিন না পারলে অন্তত আরাফার দিন রাখবেন। বা যেকোনো দিন রোজা রাখতে পারবেন। এছাড়া এই ১০ দিন যত পারেন ইবাদত করুন। বিশেষ করে ৯ ও ১০ তারিখের ইবাদত। এই ২ দিন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি মানুষকে গুনাহ থেকে মাফ করেন। এ ছাড়া আরাফার রোজা রাখলে বিগত এবং পরের বছর তথা ২ বছরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন।