বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান সেনানায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি,২০২৪, বংগবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আনন্দধামের সহযোগিতায় ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অতিরিক্ত আই জিপি সৈয়দ বজলুল করিম বিপি এম।
সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা: এ কে আবদুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডা: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার সৈয়দ ছায়েদুল হক সুমন এম পি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মরহুম ওসমানীর উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মেজর জেনারেল ইব্রাহিম, মেজর জেনারেল আবদুস সালাম চৌধুরী, মেজর জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার আলম, আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আনন্দধামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন আজ ১৬ই ফেব্রুয়ারি,২০২৪, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনানায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর ৪০ তম মৃত্যু বার্ষিকী। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলা মায়ের এই বিপ্লবী সন্তানকে যার অসাধারণ মেধা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী সমরকৌশলে শক্তিশালী পাকিস্তানি শত্রুবাহিনী পরাস্ত হয়। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মাতৃভূমি আজ স্বাধীন।
যুদ্ধবিদ্যার সুনিপুণ কারিগর অসাধারণ সাহসী, তেজস্বী ও নির্ভীক সেনানায়ক জেনারেল ওসমানীর সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে মুক্তিযুদ্ধ বেগবান হয়েছিলো। তিনি বাংলাদেশকে এগারোটা সেক্টরে ভাগ করে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট পাকিস্তানি বাহিনী নাস্তানাবুদ হতে থাকে, বিভিন্ন যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে থাকে এবং ৯ মাসেরও কম সময়ে আমাদের বিস্ময়কর বিজয় অর্জিত হয়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জেনারেল ওসমানীর বিপ্লবী জীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দ্বীপ শিখা হয়ে পথ দেখাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জেনারেল ওসমানীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চির ভাস্বর ও অম্লান । পরিশেষে বাংলাদেশের এই মহান সুর্য সন্তান জেনারেল ওসমানীর বিদেহী আত্মার উদ্দেশ্যে উনি বলেন “ তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো, আর জেনে রাখো তোমার বাংলাদেশ বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে”।