রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা ছড়িয়ে মানুষকে ধোকা দিয়ে নাটকীয় নির্বাচন করতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ ভুলতা সাওঘাট এলাকার একটি আড়ৎ পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমানকে ইঙ্গিত করে জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, নির্বাচনে প্রায় প্রতি ইউনিয়নে তাদের প্রায় শতাধিক ক্যাম্প রয়েছে। আর টাকার ছড়াছড়ির তো অভাব নেই। তবে এগুলো করে তারা মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। নাটকীয় নির্বাচন করতে চাইছে। কারণ এগুলো তো ওদের ক্যান্ডিডেট। মানুষ তাদের নাটক খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে। তাছাড়া তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানে নি।তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।মানুষ এবারের ভোটে যাবে না।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের আড়ৎটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দখল করে রেখেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান। এই ১৫ বছরে তিনি ১৫-২০ কোটি টাকা এখান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি কি করে আবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়? অথচ এই চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।
গাজী পরিবারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা ওনাদের বলে দেন আমরা রূপগঞ্জ ছেড়ে চলে যাই। ওনারা রূপগঞ্জ নিয়ে থাকুক। রূপগঞ্জবাসীর মানুষের মনের কথার প্রতিফলন হিসেবে আমি কথা বলছি।আমি চাই রূপগঞ্জে কোন মাদক-সন্ত্রাস থাকবে না। রূপগঞ্জ ফ্লাইওভারের নিচে হকারমুক্ত করে অবৈধ কাজ বন্ধ করেছি। এ কারণে আমি তাদের পথের কাটা হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জকে পরিষ্কার করার কারণে ওরা আমার পিছু লেগেছে।ওদের অবৈধ আয় বন্ধ করতে হবে। আর ওরা আমাকের নির্বাচন করতে দেয়নি। আমি যাতে নির্বাচন করতে না পারি সেটা তারা করেছে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আবু হোসেন ভূঞা রানু আনারস প্রতীক ও মো. হাবিবুর রহমান হাবিব দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। তবে হাবিবুর রহমান হাবিব সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর অনুসারী হওয়ার সুবাদে এবারের নির্বাচনে তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে গাজী পরিবার। এমনকি গাজীর লোকজন সহ তার ছেলে পাপ্পা গাজী তার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন।