টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই হাজার পথচারী, দিনমজুর ও গাড়ি চালকদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে নবম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেল গেইট, ডিআইটি ও দেওভোগ শেখ রাসেল পার্ক এলাকায় এসব বিতরণ করা হয়।
এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী। তারা হলেন, কারগিল খাঁন, আসওয়াদ খাঁন, অর্ণব খাঁন, দাইয়ান সিদ্দিক ও নিরব আহমেদ।
ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কারগিল খাঁন বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই হাজার পথচারী, গাড়ী চালক, দিনমজুর সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে এক বোতল করে খাবার পানি ও স্যালাইন দিয়েছি।এতে আমাদের প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পথচারী, দিনমজুর, গাড়ি চালক ও ট্রাফিক পুলিশের খুব কষ্ট হয়। তাছাড়া তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি পান করানো একটি সওয়াবের (পুন্যের) কাজ। এ কারণে আমরা ৫ বন্ধু মিলে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী সহযোগিতা করেছে।
শিক্ষার্থী আসওয়াদ খাঁন বলেন, তীব্র গরমের মধ্যে তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি পান করাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমি মনে করি, রাজনীতিক ও সমাজের বিত্তবান শ্রেনির লোকদের এরুপ কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এগিয়ে এসেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল বলেন, তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে মানুষ আজ পানির জন্য হাহাকার করছে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের উদ্যোগে শহরের প্রাণ কেন্দ্র চাষাঢ়া শহীদ মিনারের আশেপাশে সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাবার পানি, শসা ও টুপি বিতরণ করা হয়।
মনবিক সংগঠন টিম খোরশেদ এর টিম লিডার ও কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত নগরবাসীর মাঝে পানি, টুপি ও শসা বিতরণ করা হয়েছে। যতদিন তাপদাহ থাকবে আমরা ততদিন সেবা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।