দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে টাকা দাবি করেছেন উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, নির্বাচনের সময়ে ফতুল্লা পাইলট স্কুলে কেউ কেউ বলেছে- তিন লাখ টাকা দেন, না হলে ভোট স্লো হয়ে যাবে। আমি তিন টাকা দেইনি কোথাও। নির্বাচনে আমার যেমন প্রত্যাশা ছিল ৪১-৪২ শতাংশ ভোট পড়বে, সেটা থেকে ৮শতাংশ ভোট মাইনাস হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নম পার্কে নির্বাচনী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন: ‘সামনে ভালো সাজবেন, এলাকায় গুন্ডামী করবেন; এমন নেতা রাখবোনা’
ভোটের পারসেনটেজ কমানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে আমি কোন সরকারী অফিসারের সাথে কথা বলিনি। কারণ আমি আপনাদের বলেছিলাম, ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন করবো। তবে এই আসনে যাতে আমার পারসেন্টেজ ভোট কমে সেজন্য অনেক প্রক্রিয়া করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে সকালে আমাদের বিশাল সংখ্যক মহিলা ভোটাররা কেন্দ্রে গেছেন। সেখানে ভোটারদের বলা হলো, ফোন নিয়ে ভেতরে যেতে পারবেন না। তখন আমি কবরস্থানে বসে বাবা-মায়ের কবরের সামনে বসে দোয়া করছিলাম। সে সময় আমাকে একের পর এক ফোন করা হচ্ছিল। এগুলো করার দিচ্ছিলনা- কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ, কিছু কিছু জায়গায় জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্ট, আর কিছু জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার ফোন নিয়ে ভেতরে যেতে দিচ্ছিলনা। ধরেন ১০০ কেন্দ্রের যদি আমার ৩শ করে মহিলা ফেরত যায়, তাহলে ৩০ হাজার লোক ফেরত গেছে। এই ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশ সুপারকে জানালে ওনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. শওকত আলী. নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু।