নারায়নগঞ্জে সকল শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, ভূমিদস্যুতা নির্মুলে আয়োজিত সমাবেশে আসননি প্রশাসনের কেউ। সমাবেশে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, আলেম ওলামাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নিলেও ডিসি-এসপিসহ প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।
এনিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন নেতৃবৃন্দ। জবাব চেয়েছেন মাদক বিরোধী সমাবেশেরে আয়োজন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কাছে। রীতিমতো তোপের মুখে পড়েন প্রবাবশালী এই সংসদ সদস্য। এসময় তিনি বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনো এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়িনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর ওসমানি স্টেডিয়ামে সব শ্রেণি পেশার মানুষদের নিয়ে ডাকা এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
মাদক বিরোধী সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনুপস্থিত কেন, সেই প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, যে প্রশ্ন আজকে সাংবাদিক, আইনজীবী সহ সকলে করেছেন। নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের অন্তত একজনকে যারা এখানে আসতে দেন নাই কিংবা আসেন নাই কেন। এই প্রশ্ন যদি এখানে করি তাহালে আপনারা ভাববেন শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে প্রশ্ন করেছে। আমি শামীম ওসমান জীবিত থাকলে, এই প্রশ্ন আমি শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বলবো। যারা জনগণের সেবক হিসেবে জনগণের চাকরী করে এই নারায়ণগঞ্জে এসেছেন আজকে তারা এখানে অনুপস্থিত কেন? সেই প্রশ্ন আমি জিজ্ঞাসা করবো। আমি মাথা নত করার মানুষ না। এমন কোন কাজ করি নাই, যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করবো।
মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি করার আহবান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে এক হাজার জনের কমিটি করেন। সব মিলিয়ে ৯০ হাজার লোক হবে। এদের যদি ৫ জন করে পরিবার সদস্য থাকে তাহলে সাড়ে ৪ লাখ লোক হবে। লোক আরও বাড়বে। আর এই সাড়ে ৪ লাখ লোক কালকে ইচ্ছে করলে নারায়ণগঞ্জে নামাতে পারি। রাত ১২ টার সময় ৫ লাখ লোক নামানোর ক্ষমতা শামীম ওসমান রাখে, ইনশাআল্লাহ। নামার পর যদি জনগণ বলে আমরা কাউকে এখানে চাইনা, তাহলে কিন্তু কারও এখানে থাকার উপায় নেই। আগের মেজাজ থাকলে এখনি বলে দিতাম। বয়স হয়েছে ৬২, তাই বাষট্টি হিসেবে বক্তব্য দিলাম ২৬ বানায়া দিয়েন না কিন্তু। সাবধান থাকবেন সবাই। ৪২ লাখ টাকা উদ্ধার হয় যাত্রবাড়ীতে দেখানো হয় ফতুল্লায়।
‘আমি জেলা প্রশাসককে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বার বার বলেছি। আমি পুলিশ-প্রশাসনকে নিমন্ত্রণ করেছি।‘ বলে যোগ করেন এই সংসদ সদস্য।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষজন উপস্থিতি ছিল।