বন্দরে কথিত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ চৌধূরী ও সাহিদ কর্তৃক গৃহবধূ শান্তা(১৯) খুনের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারী) বাদ জুম্মা কদমরসুল দরগাহর সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা নিরীহ গৃহবধূ শান্তার হত্যাকারী স্বামী আরিফ চৌধূরী ও সাবেক স্বামী (খোকন ভেন্ডারের ভাই) সাহিদের ফাঁসির দাবি জানায়।
মানববন্ধনে শান্তার মা নূর বানু, বাবা নজরুল ইসলাম, ভাই সোহেল মিয়া, শুভ, বোনসহ অন্যান্যরাসহ এলাকার সর্বস্তরের নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বণিতা এতে অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে শান্তার মা নূরবানু জানান, আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার স্বামী (দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার সাহাবুদ্দিনের ছেলে) আরিফ চৌধুরী এবং সাবেক স্বামী সাঈদই দায়ী। সাঈদ আমার মেয়েকে ইদানীং বার বার ফোনে কল দিতো। এ নিয়ে এদের স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে প্রায়ই কলহ চলতো। রোববার রাতে তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ঝগড়া করে। এ বিষয় নিয়ে আরিফ আমার মেয়েকে মেরে জখম করে। দেয়ালে রক্তের ছোট ছোপ দাগ দেখা যাচ্ছে। এ থেকেই বুঝা যাচ্ছে সে রাতে আমার মেয়ের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। পরিশেষে তাকে হত্যার করে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের হুকের সঙ্গে বেঁধে চম্পট দেয়। যাতে তার হত্যাকান্ডের বিষয়টি সন্দেহ না হয়।
নূরবানু আরো জানান, আরিফ এর আগে আরো ২টি বিয়ে করেছে। একটি চৌরাপাড়ার সূচনা নামে এক মেয়েকে অপরটি শুনেছি পান্না নামে আরেকজন আছে যাকে আরো ৬ বছর আগে পুড়িয়ে মেরেছে এই আরিফ। এসব না জানিয়েই আমার মেয়েকে সে পালিয়ে বিয়ে করেছে।
সূত্র মতে, গত ৭ জানুয়ারী সোমবার রাতে যে কোন সময়ে বন্দরের নবীগঞ্জস্থ কদমরসুল এলাকায় আফতাবউদ্দিন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলামের মেয়ে শান্তা আক্তার(১৯)কে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা নূরবানু বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই শান্তার স্বামী আরিফ চৌধূরী, শ্বশুর সাহাবুদ্দিন ও সাবেক স্বামী সাহিদ মিয়াকে আসামী করে বন্দর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনায়নে মামলা দায়ের করেন।