নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। ৪ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জের একেএম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশাল নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, নারায়নগঞ্জের ৪টি আসনে নৌকা এবং নৌকায় তুলে নেয়া লাঙ্গলের প্রার্থীদের আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুসারেই নারায়ণগঞ্জের মানুষ বিপুল ভোটে তাদের নির্বাচিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও একটি আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এ তথ্য জানান।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন কেটলি প্রতীকের শাহজাহান ভূইয়া। সোনালী আশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট। ১২৮ কেন্দ্রে এই ভোট পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ- ২ (আড়াইহাজার) আসনে ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন ৭ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়েছেন । এই আসনে ১১৭টির মধ্যে ১১৫ টি কেন্দ্রে এই ভোট পড়েছে। এছাড়া বাকি দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগা) আসনে ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা। ১৩১টি কেন্দ্রে এই ভোট পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ- ৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৭ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন জাকের পার্টির গোলাপ ফুল মার্কার প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল। ২৩১টি কেন্দ্রে এই ভোট পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ- ৫ (সদর ও বন্দর) আসনে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৬ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়েছেন চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্টের একরামুল হক। ১৭৫টি কেন্দ্রে এই ভোট পড়েছে।
এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত এক যোগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। তবে দুই-একটি স্থানে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তেমন কোন বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে ৭৮২টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ভোটার সংখ্যা
২২ লাখ ৫৫ হাজার ৬০ জন। নির্বাচনে ৩৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।