নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা পঁচাত্তরের পর রাজনীতিতে এসেছি। আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। আমরা আমাদের শৈশব, যৌবন পাইনি৷ কখন বড় হয়ে গেছি বলতেও পারি না। ১৬ জুন ২০০১ সালে বোমা হামলায় আমার হাত খুলে পড়ল।
মানুষের রক্ত এত গরম হতে পারে আমার ধারণা ছিল না। পার্লামেন্টে পতিতাপল্লীর গডফাদারদের থেকে উপঢৌকন নেওয়ার ছবি দেখানোর পর বলেছিল ম্যাডাম খালেদা জিয়া, আমাকে দেখে নেবে। এভাবে দেখবেন বুঝিনি। বোমা হামলার পর বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল জাতির পিতার পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করতে নাকি আমরা নিজেদের ওপর এ বোমা হামলা ঘটিয়েছি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় এ নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার মতো ৩০ বছর পর এখানে কাউকে দাঁড়িয়ে বলতে হবে আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। মাটির নিচে আমাদের সম্পদ আছে। এছাড়াও আমাদের ভৌগলিক এলাকা গুরুত্বপূর্ণ। চায়না, ইন্ডিয়া, রাশিয়া পৃথিবীর বৃহৎ শক্তি। কেউ কেউ ধরেন এই সিদ্ধিরগঞ্জে বাজারের মাটি দখল করতে চায়। এখানে ঘাঁটি তৈরি করতে চায়। পানির নিচে নিউক্লিয়ার বোমা রাখতে চায়। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে চায়।
তিনি বলেন, সবটা বলা সম্ভব না। আমাদের নেতারা সবাই কিছুটা জানেন, সবটা জানেন না। আমাদের ভৌগলিক সীমা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকেও একই শর্ত দেওয়া হয়েছিল। জাতির পিতার সঙ্গে তার কন্যার তফাৎ আছে। জাতির পিতা সবাইকে বিশ্বাস করেছিলেন। বাঙালি কোনোদিন তার ক্ষতি করবে না এ বিশ্বাস তার ছিল। কোনো পিতা, মাতা কী বিশ্বাস করবে তার সন্তান তাকে হত্যা করতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমি আপনাদের বলতে চাই। দেশটাকে বাঁচান, শেখ হাসিনাকে বাঁচান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, জেলা যুবলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপুসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।