ফতুল্লায় জেসমিন বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে, রবিবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা লাকী বাজার এলাকায় তার নিজ বাড়িতে আচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জেসমিন বেগম চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে লাকী বাজার এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে গৃহবধূ জেসমিন বেগম ঘরের ফ্যান মুছতে গিয়ে পড়ে আহত হলে তাকে নগরীর খানপুর হাসপাতাল নেওয়া হয় স্বামী শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরে নিশ্চিত করে বলতে পারবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া আঘাতের কারণে নাকি অন্য কোন কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, নিহত জেসমিন বেগমের চার ভাই প্রবাসী হওয়ায় নানা অজুহাতে তার কাছে টাকা চাইতেন স্বামী আলী হোসেন। ১০ দিন আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করা হয়। তিনি তার মেজো ভাইকে মারধরের ঘটনা জানায়৷ এ নিয়ে ওই রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এই ঘটনার প্রায় ১০ দিন পরে রবিবার রাতে নিহতের পরিবারকে জেসমিনের স্বামী ফোন করে জানায়, জেসমিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে পরিবারে লোকজন হাসপাতালে এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসময় হাসপাতালের ফটকে আহাজারি করে নিহতের স্বজনরা দাবি করেন তার বোনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন৷ এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বলেন, এটা হত্যা নাকি অন্য কিছু তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা সম্ভব হবে। তবে নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন এটা হত্যাকাণ্ড। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।