কোরিয়ান ব্যান্ড দলের (বিটিএস) সঙ্গে যোগ দিতে প্রায় ১৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঘর ছেড়েছে ফতুল্লার এক কিশোরী। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ২১ জানুয়ারি দিনগত রাত দুইটায় ঘর থেকে পালিয়ে যায় বিটিএস ভক্ত ষোলো বছর বয়সী ওই কিশোরী। ঘটনার দীর্ঘ ঊনিশ দিন পর শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
পালিয়ে যাওয়া কিশোরী জেলা সদরের ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা। স্বর্ণালংকার নিয়ে তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
লিখিত অভিযোগে কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে পরিবারের সদস্যদের কথা অমান্য করে উশৃঙ্খল জীবনযাপন করতো। কেউ কিছু বললেই তার সঙ্ড়ে উত্তেজিত আচরণ করতো। সে কোরিয়ান ব্যান্ড দল বিটিএসের ভক্ত ছিল। নিজ ঘরে বিটিএস সদস্যদের ছবি টানিয়ে রাখতো। বাসায় কারও সঙ্গে ঝগড়া হলেই বলতো সে কোরিয়া চলে যাবে।’
লিখিত অভিযোগে কিশোরীর বাবা আরও বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারি রাত দুইটার দিকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ১৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাইনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সে আমার ভাতিজিকে জানায় কোরিয়ায় বিটিএস গ্রুপের সঙ্গে আছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিটিএস দলে যোগ দেবে। এছাড়া তার ফেসবুকে বিটিএসের মতো নাচগানের অসংখ্য ভিডিও আপলোড করতে দেখা গেছে। এমন অবস্থায় সে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই কোরিয়া চলে যেতে পারে এবং যেকোনো সময় নিজের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে।’
কিশোরীর বাবা দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের এখনও কোনো খোঁজ পাইনি। থানায় অভিযোগ দিয়ে এসেছি। উনারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার করলে হয়তো মেয়েকে ফিরে পারব। বিটিএস গ্রুপের নামে কোনো অসামাজিক গ্রুপে জড়িয়ে গেল কিনা আমরা সেই দুশ্চিন্তায় আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম খান সময় সংবাদকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকেন, তবে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’