নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল বলেছেন, মহান মুক্তিযদ্ধে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছে। কিন্তু যখন ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বুঝতে পারলো যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন এসকল বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, এটা আমাদের টেনে নিয়ে যেতে হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধু পুরো বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি আমাদের বুঝাতে পেরেছিলেন যে, পাকিস্তানের কাছে পরাধীনতার যে শিকল সেটি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন কোন ভাতা বা কোটার কথা চিন্তা করেন নাই। তারা চিন্তা করেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছেন, এদেশকে যুদ্ধ করে স্বাধীন করতে হবে। তখন বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হবে। তখন অনেকেই বলেছিলো যে বিচার হবে না। কিন্তু তাদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা, সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।