বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সিদ্ধান্ত জানার পর সোমবার বিকালে এনএনডি টিভির নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আতাউর রহমান মুকুল ও শওকত হাসেম শকু। তারা জানান, ‘বিএনপির কোন মাথা নাই, রিজভীকে যা বলে, তাই শুনে। যাচাই বাছাই কিংবা তদন্ত না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া তার ঠিক হয়নি। এতে বিএনপি কর্মী-সমর্থন হারাচ্ছে। নেতৃত্বে আসছে বহিরাগতরা।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গত ৩০ ডিসেম্বার বিএনপির ছয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বহিস্কার আদেশে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য শওকত হাসেম শকু, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা হান্নান, সুলতান আহম্মেদ, গোলাম নবী মুরাদ ও সোনারগাঁ থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপিরসহ সভাপতি মো. নুরুজ্জামান।
বহিস্কৃতদের মধ্য থেকে শওকত হাসেম শকু এনএনডি টিভিকে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতৃত্ব দেওয়া পরিবার গুলোর মধ্যে হাসান জামাল, সিরাজুল ইসলাম কমান্ডার, মজিদ খন্দকার, তৈমূর আলম , এমপি কালাম, তারু সরদারের পরিবার শেষ। এখন আমরা যাও ছিলাম, সেটাও শেষ হলো। এখন দলের নেতৃত্বে আসছে আড়াইট্টা-ভাড়াইট্টা লোকজন। দল এখন এত ভালো অবস্থানে আছে যে বলার কিছু নেই।
নিজের অবস্থান তুলে ধরে শকু বলেন, আমি যখন আওয়ামী লীগের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে থাকি তখন কারো মাথা ব্যথা হয় না, সেলিম ওসমানের সাথে কথা বলায় মাথা ব্যথা হয়ে গেছে। আমি সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচারণায় যায়নি, কোথাও তার হয়ে বক্তব্য কিংবা ভোট চাইনি। তিনি আমার এলাকায় এসেছে, আমি একজন কাউন্সিলর হিসেবে তার সাথে কথা বলেছি। সেলিম ভাই আমাদের লোকাল এমপি, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে উনার সাথে আমার পরামর্শ করেই চলতে হবে। আইভী আওয়ামী লীগের মেয়র, তার সাথেও আমার সর্ম্পক রেখে চলতে হবে।
এখন অন্য দলে যাওয়ার পরিল্পনা নেই এ নেতার। তিনি বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আছি, সারাজীবন সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকতে চাই। আমার আরএস-সিএস পরিচয় একটাই। আমার ওই ধরণের কোন পরিকল্পনা নাই।
বহিস্কার আদেশের বিষয়ে আতাউর রহমান মুকুল এনএনডি টিভিকে বলেন, বিএনপির তো কোন মাথা নাই, রিজভীকে যা বলে, তাইতো শুনে। যাচাই বাছাই কিংবা তদন্ত করে না। তদন্ত ছাড়া কোন সিদ্ধান্তে যাওয়া ঠিক না। আমার ধারা দল কোথাও ক্ষতিগস্থ হলে বলতো। আমাদের মতো নেতাদের বাদ দিয়ে দল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
নতুন দলে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মুকুল বলেন, যাদের টাকা পয়সার বেশি প্রয়োজন ছিল, তারা চলে গেছে। আমার এতো টাকার প্রয়োজন নাই। যেমনে আছি তেমনই থাকবো।