ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের মজলুম জনতার পক্ষে লড়াই করার জন্য যোদ্ধাদের তালিকা করতে হবে। তালিকা তৈরি করে তাদেরকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রেরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার বিকালে ডিআইটি চত্বরে ইসরাইয়রী গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সহ-সভাপতি যথাক্রমে মাও. শফিকুল ইসলাম ও নুর হোসেন, সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহা. আমান উল্লাহ ও ডা. সাইফুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সভাপতি মুহা. ওমর ফারুক ও মাওলানা হাবীবুল্লাহ হাবিব।
প্রচন্ড তাবদাহ উপেক্ষা করে ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ঈমানদার জনতা রাজপথে ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগানে ফেটে পড়েন।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। বর্বর ইসরাইল চাপিয়ে দেওয়া একটি জারজ রাষ্ট্র। ইসরাইলি পণ্য বয়কট নয়, আমদানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের বাজারে ইসরায়েল ও তাদের দোসর ভারতের পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাঈল শুধু আজকেই নয় বরং তারা ১৯৪৮ সাল থেকেই ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলায় কয়েক লক্ষ মানুষকে তারা শহীদ করেছে। বিশেষ করে বিগত ৭ মাসে ইসরাঈল ফিলিস্তিনের গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে তা অকল্পনীয়। এই ক’মাসেই প্রায় চল্লিশ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা।
নগর সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার লোভে সন্ত্রাসী ইসরাইলকে বন্ধু বানাতেও কুন্ঠাবোধ করছে না। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইসলাম ও মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদিদের সাথে গোপনে আতাত করে চলছে। আমরা মানবতার পক্ষে, মজলুমের পক্ষে, জালেমের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, বিশেষ করে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সকল হোটেল রেস্টুরেন্টে ইসরাইলী কোমল পানীয় বর্জন করতে হবে।