নারায়ণগঞ্জ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের সবগুলো বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। শহরের কেন্দ্রীয় বাস কাউন্টার ও চাষাঢ়া এলাকা ঘুরে এই দৃশ্য দেখা যায়। তবে দুপুরের পর জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে পুনরায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের কেন্দ্রীয় বাস কাউন্টার থেকে ঢাকা – নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারি বন্ধন পরিবহন, উৎসব পরিবহন, আনন্দ পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আর চিটাগং রোড – নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধু পরিবহন ও বাঁধন পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস কাউন্টারের আসে পাশের সড়কে এসব পরিবহন পার্কিং করে রাখা হয়েছে। তবে সীমিত সংখ্যক সরকারি বিআরটিসি ও শীতল পরিবহনের বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী রবিন আহমেদ বাস কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে সব বাস বন্ধ করেছে। এখন বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজি চালিত অটো রিকশায় করে গন্তব্যে যেতে হবে।
স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে বাস কাউন্টারে এসেছেন রফিক মিয়া। তিনি বলেন, আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস কাউন্টারে এসেছি। কিন্তু সব বাস বন্ধ রয়েছে। এখন বিকল্প পরিবহনে করে যেতে হবে।
বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি রওশন আলী সরকার বলেন, আমাদের অনেক গাড়ির রুট পারমিট নাই, আবার অনেক গাড়ির ফিটনেস নেই। গতকাল এমপি, মেয়রের সঙ্গে ডিসি ও এসপির মিটিং হয়েছে। সেই মিটিংয়ে অনুমোদনহীন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে আজ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাস চালু করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছি। রুট পারমিট এর অনেক গাড়ির আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে আবার বাস চলাচল করবে।
এর আগে, গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল হক বলেন, আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা করছি, আগামীকাল থেকে আমি গাড়ি ডাম্পিংয়ে দেওয়া শুরু করবো। রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি দেখলেই ডাম্পিংয়ে দিয়ে দেব। রুট পারমিট ছাড়া কোনো গাড়ি নারায়ণগঞ্জে ঢুকবে না।