বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী বাহিনীর মহড়া ও টাকা দিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ‘আমার খুব বেশি ঘৃনা লাগে যখন কেউ বলে টাকা দিয়ে নির্বাচন করা যায়। এই জনগণ কি এত সস্তা? যে কয়েকটা টাকার জন্য নিজেদের ঈমান বিক্রি করে দিবে। তবে এখানে এসে শুনলাম কেউ কেউ কিছু কথা বলছে। কথা গুলো যদি আমরা আমলে নেই, তাহলে আগামীকাল থেকে কেউ কিন্তু মাঠে নামতে পারবেন না। আমরা জানি কি করতে হবে। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক। যার কপালে লেখা আছে সে নির্বাচিত হোক।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বড়ভাই একেএম নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরের নাসিম ওসমান মডেল স্কুলে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত বড়ভাই নাসিম ওসমান, পিতা-মাতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, আপনারা এখানে দলমত নির্বিশেষে অনেক মানুষ এসেছেন। আপনাদের কারও না কারও হাত মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হবেই। আপনার আমার বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একজন মহিলা (শেখ হাসিনা) দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার বাবা-মা, ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদের ভালো ছাড়া তার আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে পরিষ্কারভাবে অনুরোধ করছি, ঈমান কেউ বিক্রি করবেন না। কারা কারা নির্বাচন করছে আমি জানিও না। আজকে এখানে এসে কিছু কথা শুনলাম। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানের সামনে কেউ কেউ কিছু কথা বলেছেন। এই কথাগুলো শোনার পরে যদি আজ আমার ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান না হতো, তাহলে হয়তো আমি আজ একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে যেতাম। কিন্তু সেই কাজটা করবো না। তাই যারা কথা বলবেন, বুঝে শুনে কথা বলবেন। কারণ মুখের বুলি ও বন্দুকের গুলি একবার বের হয়ে গেলে আর ফেরানো সম্ভব নয়। আর এটাই শেষ না সামনে আরো সময় আছে। মিলেমিশে ছিলেন, মিলেমিশে থাকেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ মহড়া দেখাবেন না। যদি আমরা ক্ষমতাসীন দল হয়ে ক্ষমতা দেখাতাম তাহলে কিন্তু কেউ নির্বাচন করতেন না। আমরা কাউকে হ্যাঁ/না বলি না। রাজনীতি যদি ক্ষমতার জন্য হয় তাহলে আমি চাইনা আমার সন্তান কিংবা সেলিম ভাইয়ের সন্তান কেউ রাজনীতি করুন। রাজনীতি যদি কাউকে ভালোবাসার জন্য করা হয়, সেটা হচ্ছে ইবাদাত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়াণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, অয়ন ওসমান প্রমুখ।