নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বায়নাকৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে গনঅধিকার পরিষদ নেতা আরিফের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শহিদুল্লাহ নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের দৃষ্টির অপেক্ষায় সময় দিন গুনছেন।
জানা গেছে, মিজমিজি-জালকুড়ি-নারায়ণগঞ্জ সড়কের ১০ পাইপ সংলগ্নে ৬০ শতাংশ একটি বড় জমি রয়েছে মো: শফি, সুমন, আবু সামাদ ওরফে ক্যাসা ও রনি মিয়ার নামে। ওই জমির মধ্যকার ২৮ শতাংশের রেজিস্ট্রি বায়না এবং বাকি ৩২ শতাংশের কাচা বায়না নামা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ। তবে, তার বানয়নাকৃত জমির বাউন্ডারির কাজ জোরপূর্বক বন্ধ করে বেদখল করার অভিযোগ তুলছেন গন অধিকার পরিষদের নেতা আরিফও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমিনুল হক ভুঁইয়া রাজুর আস্রয়ে এ জবরদখল করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী শহিদুল্লাহ জানান, আমি বহুদিন আগে এই জায়গার বায়না করেছি। তারপর আমার নামে ওই জমিতে সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছিলাম। গত কয়েকদিন আগে আমি জমির মধ্যে বাউন্ডারি দেওয়ার সময় আরিফ ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজু তাদের গুন্ডা বাহিনী নিয়ে হঠাৎ হামলা করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এখন আরিফ দাবি করছে ও নাকি জমি আমার আগে বায়না করেছে। যা পুরোপুরি মিথ্যা। সে একটা ফ্যাক স্টাম্প তৈরি করে আমাকে হয়রানি করছে। অথচ জমির প্রকৃত মালিকপক্ষ আমাকে জমি বুঝিয়ে দেয়ার পক্ষে আছেন।
দখলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে গন অধিকার পরিষদ নেতা আরিফ বলেন, আমি অন্যের জায়গা কিভাবে দখল করবো। কেউ কারো জমি দখল করতে পারে না। এটা পুরোপুরি মিথ্যা। গন অধিকার পরিষদের কোন পদে আছে তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলে,আমি কোনো পদে নেই আগে এখানের পোগ্রামগুলোতে যুক্ত হতাম। সেটাও ৪-৫ বছর আগে।
জমির মালিক সুমনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, আমাদের জমির মামলা চলমান রয়েছে। এখানে কাগজ যার পক্ষে যাবে সেই জমির মালিক। তবে দুই বছর আগে শহিদুল্লাহ মামার সঙ্গে যে বায়না হয়েছে সেটা আমি জানি। আর আরিফ যে ব্যক্তি তারটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ওই জমির কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মামলা চলমান যেহেতু আছে কেউ কাজ করতে পারবে না। কোর্টের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত।