নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুরে মনিরুজ্জামান মনু নামে এক যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মদনপুরের মুরাদপুর এলাকায় নিহত মনুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর এলাকার মৃত কামালউদ্দিনের ছেলে। মনুর স্ত্রী সাবিনার অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে একই এলাকার মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মনু ও তার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত মনুর ছেলে মিনহাজ ও ভাগ্নি মুনমুন জানান, বেলা ১১টার দিকে মনু মুরাদপুরের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দল ঘরে ঢুকে মনুর মাথায় গুলি করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি রড দিয়ে পেটায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। দুপুর ২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত মনু মদনপুরের মুরাদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ছয়-সাত বছর আগে আবুল নামে মনুর পরিবারের এক সদস্য পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগে নিহত মনুর ভাই নুরুজ্জামান নুরা, বাবুল আক্তার ও বড় বোন নিলুফা প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন। তারপর থেকে মনু কাপাসিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার মনু পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান। পরে গতকাল সকালে মনু নিজ বাড়িতে এলে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের স্ত্রী সাবিনা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকে কাপাসিয়ায় শ্বশুরবাড়িতেই বেশি সময় থাকতেন মনু। তিনি কাঁচপুরে এক আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে বাড়ি এসেছিলেন।
বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।