১৬ বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় মামলার বাদীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় আতঙ্কে মারা গেছেন আরও এক ব্যক্তি।
আড়াইহাজারের খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন এবং ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য জুলহাস মেম্বার ও শাহ আলমের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জুলহাস মেম্বারও শাহ আলমের পক্ষের লোকেরা তোফাজ্জল ও মহিলা ইউপি সদস্য আফরোজার বাড়ী সহ ১৬ বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ নিয়ে তোফাজ্জলের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দাবি তোফাজ্জলের ভাই আবুল হোসেন (৪২) বাহেরচর বাজারে তার দোকান ঘর খুলতে গেলে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জুলহাস মেম্বারের লোকেরা। তাকে সঙ্গে সঙ্গে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে এনে ভর্তি করা হলে এলাকায় এ নিয়ে আবারো উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় পুলিশ যাওয়ার সংবাদে জুলহাস মেম্বারের পক্ষের লোকজন এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। এ সময় জমিতে কাজ করতে থাকা হাতেম আলী আতঙ্কিত হয়ে মারা যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ জানান, হাতেম আলীর মৃত্যু ষ্ট্রোক জনিত কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য লাশের ময়না তদন্তের দরকার। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্তিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। আমি সহ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে হাতেম আলীর স্টোক জনিত না কি হত্যা।
এই ব্যাপারে তোফাজ্জল ও জুলহাস মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা মুঠাফোনে কল রিসিভ করেনি।