ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদন্ডের রায়ের মাত্র ৪ দিনের মাথায় আসামি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার মহিষখোচা গ্রাম থেকে র্যাব-১১ ও১৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।
আসামী আশরাফুল আলম লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার মহিষখোচা গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। ঘটনার সময় সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই পোশাক শ্রমিক তার স্বামীর সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কাজ করতেন লিথি এ্যাপারেলস গার্মেন্টসে। প্রতিদিন সকালে কারখানায় গেলেও ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ঘরের ময়লা জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য কাজে যাননি। দুপুরে তার স্বামী ও বড়ভাইয়ের স্ত্রী খাওয়ার জন্য এসে দেখে ঘরের দরজা খোলা এবং খাটের উপরে ওই নারীর নগ্ন মরদেহ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মশিউর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, মৃত নারীর প্রতিবেশী আশরাফুল আলম ওইদিন ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ মামলার একমাত্র আসামী আশফুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ফরহাদ হোসেন শেখ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আশরাফুল আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না আশরাফুল আলম।
র্যাব জানায়,পলাতক আশরাফুলকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খা বাহিনী। র্যাব-১১ ও ১৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।