বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক তারকা ফুটবলার কিংব্যাক খ্যাত মোনেম মুন্নার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৫ সালের এই দিনে কিডনি জনিক রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় বন্দরে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বাদ যোহর বন্দর মুন্না স্মৃতি ক্লাবে মিলাদ মাহফিল করা হয়েছে।
মুন্নার ছোট ভাই ফুটবলার মকবুল হোসেন রতন বলেন, সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী সাবেক জাতীয় ফুটবলার মরহুম মোনেম মুন্না ভাইয়ের উনিশতম মৃত্যু বার্ষিকী। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহপাক যেন ভাইকে জান্নাত নসীব করেন।
জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় মরহুম মুন্নার। তিনি তিনবার জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতির টাইগার ট্রফি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সাফ গেমসে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ৩১শে মার্চ মুন্না ৩০ বছর বয়সে দেশের পক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিল ওই ম্যাচটি। তিনি আমৃত্যু ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলে গেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুন্নার স্মরণে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সেতুটির নাম ‘মোনেম মুন্না সেতু’ নামকরণ করেন। তবে দীর্ঘদিনেও মুন্নার জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জে তার স্মৃতি ধরে রাখতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।
মোনেম মুন্নার একনিষ্ঠ ভক্ত জাহাঙ্গীর ডালিম তার ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন, ‘এখনও আবাহনীর যে কোনো স্টেডিয়ামে খেলা হলে আমি যাই। খুঁজে ফিরি আমার চির চেনা শ্রদ্ধেয় মোনেম মুন্না ভাইকে। তাঁর মতো ফুটবলার আর জন্ম হবে না। আমি দোয়া করি আল্লাহ মোনেম মুন্না ভাই কে জান্নাতুল ফেরদৌসের দান করুন। তার ভক্ত, পাড়ার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন ছাড়া কেউ মনে রাখেনি মুন্নাকে। বাফুফে কিংবা তার প্রানের ক্লাব আবাহনীও ভুলে গেছে মুন্নাকে।