‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, সব গাছ কিন্তু পরিবেশবান্ধব নয়। কিছু গাছের পাতা থেকে নেশার উপদ্রব তৈরি হয় তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাঁজার গাছ। বিশ্ব পরিসংখ্যান বলছে গাঁজা সেবনকারীদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে গাঁজা সেবন আসক্তির বেশি প্রবণতা দেখা দিয়েছে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে। কম বয়সে নিয়মিত গাঁজা সেবনে মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটেছে বলে পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়। মাদকসেবীরা যেনে বুঝেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে করছে গাঁজার চাষ। তেমনি একটি পরিত্যক্ত জায়গায় অতি যত্ন করে গাঁজার গাছ লাগিয়েছিলেন মাদকসেবীরা। কে বা কারা এই গাঁজার গাছ লাগিয়েছেন তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় এক সচেতন বাসিন্দা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ এসে গাছটি কেটে ফেলে। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলি নয়াপাড়া এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ পরিত্যক্ত এই জায়গায় মাদকসেবীরা নিয়মিত মাদক সেবন করে রাতের আঁধারে। কিন্তু এ বিষয়ে এলাকার কেউ সাহস করে উদ্যোগ নেয়নি মাদকসেবীদের বাঁধা প্রদানে। তবে একজন এগিয়ে এসেছে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করতে।
শনিবার (১৮ মে) সকালে এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাইফুল ইসলাম সবুজ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পায়। পরে গাঁজার গাছটি কেটে ফেলে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, কদমতলি নয়া পাড়া এলাকার এক ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় একটি গাঁজার গাছ অনেক বড় হয়েছে। পরে তাৎক্ষণিক গাঁজার গাছটি কেটে ফেলা হয়। কে বা কারা এই গাঁজার গাছ লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।