’সুরা ওয়াকিয়া’ হচ্ছে পবিত্র কোরআনের ৫৬ নম্বর সুরা। ’সুরা ওয়াকিয়া’ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। ‘ওয়াকিয়া’ শব্দের মূল অর্থ ঘটনা, এখানে কেয়ামত বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। ’সুরা ওয়াকিয়া’ নাম গৃহীত হয়েছে সুরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত‘ওয়াকিয়া’ শব্দটি থেকে। এ সুরায় কেয়ামতের দিন আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা, সাধারণ মুমিন ও কাফেরদের কী অবস্থা হবে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসেছে জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তির বিবরণ।
বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান (রা.) তাকে দেখতে যান। এসময় তিনি জিজ্ঞেস করেন- আপনার অসুখটা কি? হজরত ইবনে মাসউদ বলেন, আমার পাপসমূহই আমার অসুখ। হজরত ওসমান জিজ্ঞেস করেন- ’আপনার বাসনা কি?’ হজরত ইবনে মাসউদ বলেন, ’আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি। ‘ হজরত ওসমান জিজ্ঞেস করেন- ‘আমি আপনার জন্যে কোন চিকিৎসক ডাকব কি ‘ হজরত ইবনে মাসউদ বলেন, ‘চিকিৎসকই আমাকে রোগাক্রান্ত করেছেন। ’ হজরত ওসমান জিজ্ঞেস করেন- ‘আমি আপনার জন্যে সরকারী বায়তুল মাল থেকে কোন উপঢৌকন পাঠিয়ে দেব কি?’ হজরত ইবনে মাসউদ বলেন, ’এর কোন প্রয়োজন নেই। ’ হজরত ওসমান বললেন- ‘উপঢৌকন গ্রহণ করুন তা আপনার পর আপনার কন্যাদের উপকারে আসবে।’’ হজরত ইবনে মাসউদ বলেন, ‘আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার কন্যারা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এমন চিন্তা করি না। কারণ, আমি কন্যাদেরকে জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতিরাত্রে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে। ‘
আরো পড়ুন: মোবাইলের স্ক্রিনে কোরআনের আয়াত ওজু ছাড়া স্পর্শ করা জায়েজ?
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে সে কখনও অভাবে পড়বে না। (বায়হাকি: ২৪৯৭)
এ সুরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এ সুরা পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়, অভাব দূর হয়। তাই প্রতিরাতে এ সুরা পাঠ করলে সে ঘরে দারিদ্রতা আসবে না। মহান আল্লাহ্ সকল মুসলিম উম্মাহকে এ আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন।