নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গণসংযোগ ও প্রচারণা শেষ করে ফেরার পথে জগ প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশার সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিপক্ষের।
বুধবার বিকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কলাতলী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কাঞ্চন বাগান বাড়ি এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে হামলার অভিযোগ করেন মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক।
এ হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আগামী ২৬ জুন কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীকে রফিকুল ইসলাম রফিক ও মোবাইল প্রতীকে দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী রফিক তার সমর্থকদের নিয়ে করাটিয়া, বুরুটিয়া, রানীপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ চালান। বিকাল ৫টার দিকে প্রচারণা ও গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে কলাতলী এলাকায় দেওয়ান আবুল বাশার বাদশার সমর্থক আইয়ুব ভুইয়ার নেতৃত্বে ৫০-১০০ জন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় মেয়র প্রার্থী রফিক, রাজু, হেকিম, সানাউল্লাহ, মফিজুল ইসলাম, সিয়াম, কাউসার, নাছিম, দেলোয়ার হোসেন, হেলাল, আনিছুর, সজিবসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ হামলার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নির্বাচনের দিন বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে ফেরার পথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাদশার সমর্থকরা আমার ও আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অপর মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। যারা আহত হয়েছে তারা আমার লোক। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করার জন্য প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, এ ঘটনায় আইয়ুব ভুইয়াকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। যদি তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নয়তো তাকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।