ইউরোপের দেশ রূমানিয়ায় পাঠানোর নামে ভূয়া ভিসা দিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে টাঙ্গাইলের নাজমুল হাসান ওরফে রামন (৪৫) ও তার সহযোগী ফারুক। এই প্রতারক চক্রের হাতে সর্বশান্ত কয়েকজন এরইমধ্যে প্রতারক রামনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, ২ বছর পূর্বে দুবাই থেকে পশ্চিম ইউরোপের আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আসে নাজমুল। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১২ জন ছাত্রকে রুমানিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি সাড়ে ৮লাখ টাকা করে প্রায় ১ কোটি টাকা নেয়। এরপর ভূয়া ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা ও বিএমটি কার্ড দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে। ভূয়া ভিসা দেখিয়ে ২৫ টাকায় এই বিএমটি কার্ড বানিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে পুরো ৮ লাখ করে আদায় করে। পরে ভিসা চেক করে দেখা গেছে, প্রতিটি ভিসা জাল। নাজমুল-ফারুক প্রতারক চক্র এসব টাকা দেশে (টাঙ্গাইল) তাদের বাবা-মায়ের মাধ্যমে রিসিভ করে। বর্তমানে তারাও পলাতক রয়েছে।
শরিয়তপুর নড়ীয়া এলাকার কোব্বাহ মাতবরবাড়ীর সারোয়ার তালুকদারের ছেলে শাওন তালুকদারের কাছ থেকে অনুরুপ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার মীরহামজারী সোলা গ্রামের মাসুদ হাসানের ছেলে নাজমুল হাসান রামন তাকে রুমানিয়া পাঠানোর নামে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর পৃথক চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরে ভিসার কাগজ পাঠালে সেগুলো জাল ও ভূয়া বলে প্রমাণিত হলে ভূক্তভোগী তার দেয়া সাড়ে ৮ লাখ টাকা ফেরত চায়। প্রথমে টালবাহানা করলেও কয়েকমাস পর টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং প্রাণনাশের হুমকী দেয়। পরবর্তিতে তথ্য প্রমাণসহ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
প্রবাসীদের কয়েকজন জানায়, দুবাই থাকাকালে বিভিন্নজনের সাথে প্রতারণা করে আজারবাইজান চলে যায় প্রতারক নাজমুল। সেখানে রুমানিয়ার ফারুকের সাথে সিন্ডিকেট করে সেখানে লোক পাঠানোর নামে কোটি টাকা আত্মসাত করে। এই প্রতারখ চক্রের হাত থেকে সকলকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করেন তারা। পাশাপাশি নাজমুল হাসান রামন ও রুমানিয়ার ফারুককে দেখামাত্র পুলিশের কাছে সোপর্দ করার অনুরোধ করেছেন ভূক্তভোগীরা।