আসন্ন রোজার মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল এবং ঈদের পরপরই প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যাওয়ায় ওই সিটিতে উপনির্বাচন হবে। আর ময়মনসিংহ সিটিতে নিয়মিত ভোট হবে।
আনিছুর রহমান আরও বলেন, দুই সিটি নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে তিনটা বা চারটা পৌরসভা আছে, সেগুলোতেও ভোটগ্রহণ হবে। এসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।
তিনি বলেন, এ সময় কিছু উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ও কিছু জেলা পরিষদের উপনির্বাচন হবে। কোথাও কোথাও চেয়ারম্যান পদে আবার কোথাও সদস্য পদে ভোটগ্রহণ চলবে। ইউনিয়ন পরিষদের অনেকগুলো আছে, এর অধিকাংশ মৃত্যুজনিত কারণে সদস্য পদ আবার কিছু রয়েছে চেয়ারম্যান পদে। সবমিলিয়ে নির্বাচন একই দিনে হবে।
তিনি জানান, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশনের ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলো ব্যালটে হবে। যখন এসব নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হবে, তখন বিস্তারিত জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে তালিকা নিয়ে এখনো পর্যালোচনা করছি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হবে। আবার ১০-১২ মার্চ যেকোনো দিন রমজান শুরু হবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের আগাতে হবে। প্রথম ধাপে যেসব উপজেলা নির্বাচন করতে হবে, সেগুলো হয়তো এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে কিছু হবে। বাকিগুলো মে মাসে হবে। কারণ জুন মাসে আবার এইচএসসি পরীক্ষা। মাঝখানের এ সময়টাকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তালিকা যাচাই-বাছাই করছিলাম কোনটা কবে করা যায়। এ বিষয়ে আমরা আরও কয়েক দিন সময় নেব।’
ঈদের আগে উপজেলা নির্বাচন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আইনের বিধান হলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের ভেতর নির্বাচন করতে হবে। সেহেতু কিছু নির্বাচন একেবারে সন্নিকটে। হয়তো এ সপ্তাহে আমরা একটা সিদ্ধান্তে যাওয়ার চেষ্টা করব। রোজার মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না। তবে আমরা হয়তো রোজার মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করব। ঈদের পর আমরা ২০ দিন সময় পাব। এ সময়টা যেন প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা করে ভোটে অংশ নিতে পারেন, সেজন্য এ রকম একটা প্রাথমিক চিন্তা করেছি।’
সংরক্ষিত আসনের তফসিল কবে নাগাদ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটাও এখন যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সহসায় হয়ে যাবে। কারণ আইনের বাধ্যবাধকতা আছে। সংসদ নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।’