অলিগলি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, খোঁজ নিচ্ছেন নেতাকর্মী আর সমর্থকদের। জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরছেন-সরকারের উন্নয়নের কথা।
প্রিয় নেতার আশার খবরে পুরো এলাকায় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ছে। উৎসুক জনতাও অংশ নিচ্ছে সেই আনন্দে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেড়ানোর সময় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
আসনটিতে ৩ বারের সংসদ সদস্য তিনি। তাঁর নির্বাচনী আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড প্রসস্ত করণ প্রকল্প, সরকারি তোলারাম কলেজে স্মাতক কোর্স চালু করা ও টান বাজারের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ অন্যতম ছিল। সর্বশেষ শেখ কামাল আইটি পার্ক, কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ করার কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়াও দীর্ঘ দিনের অবহেলিত ফতুল্লা এলাকায় রাস্তা, ঘাট ও ড্রেনের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প এনেছেন এ নেতা।
ফেস্টুন-ব্যানার কিংবা খবরের পাতায় শামীম ওসমানের ছবি দেখেছেন অনেক সাধারণ জনগণ। তাদের কাছে শামীম ওসমান ছিল ধরা ছোয়ার বাহিরের কেউ। নিজ পাড়ায় এ নেতার আসার খবরে ছুড়ে আসছেন পুরুষদের আসার পাশাপাশি অনেক নারী।
এবারের নির্বাচনে শামীম ওসমান কারো কাছে ভোট চাচ্ছে না। কারণ তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদন্ধে নেই মাঠে।
তারপরেও অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ানোর কারণ জানিয়েছেন শামীম ওসমান নিজেই।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়নের ৫ তলা এলাকায় গিয়ে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে শামীম ওসমান জানান, এখন দেশ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছে। বাংলাদেশের উপর নজর পড়েছে অদৃশ্য ঈদল পাখির। তাঁরা আমাদের সমদ্র আর সেন্টমার্টিন দ্বীপ চাইছে। অনেক কথাই আমি স্পস্ট করতে পারছি না। তাই আপনারা সচেতন হন। আগামী ৭ জানুয়ারি কি করবেন, সিদ্ধান্ত নেন আপনারা।
সভা শেষে শামীম ওসমান ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পর্যন্ত হেঁটেই গণসংযোগ করেছেন। রাস্তার পথিকদের সাথে গণসংযোগ করেছেন। সাথে হেঁটেছেন হাজারও নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা।