নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই, সেই দিকে আপনাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ওই সন্ত্রাসীরা যাতে আর এলাকায় আসতে না পারে। সিদ্ধিরগঞ্জের সবাই শান্তি প্রিয় মানুষ। দুই-একটা কুলাঙ্গারের জন্য আমরা এই এলাকার সুনাম নষ্ট করতে পারি না। কুলাঙ্গাররা অবৈধ ভাবে তারে অর্থ-বিত্ত তৈরি করেছে। এমনকি এই কুলাঙ্গাররা এই এলাকার ন্যায় বিচার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা অন্যায় ভাবে অর্থের মাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব করে বিচার করতো। শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনী এই এলাকাকে এমন ভাবে জিম্মি করে রেখেছিলো, যে মানুষ কখনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন কেউ যাতে কোথাও কোন চাঁদাবাজি করতে না পারে। সম্পূর্ণ চাঁদাবাজ মুক্ত এলাকা থাকবে নারায়ণগঞ্জ। কেউ চাঁদাবাজি করলে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন, না পারলে আমাদের বলবেন; আমরা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু আর কোন সন্তানকে কুলাঙ্গার হতে দেওয়া যাবে না।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কলাবাগ জামে মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এইসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অন্যায় ভাবে যে মানুষ অর্থ-বিত্ত উপার্জন করে, আমাদের দেশের মানুষ তাদের সম্মান করে। আর কেউ যদি সৎ ভাবে চলে আর গরিব হয়, তাহলে তাকে অবজ্ঞা করে। সমাজের ভালো মানুষদের সম্মান করতে হবে, অসৎ মানুষকে ঘৃণা করতে হবে।
গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, আপনাদের পক্ষে আমি সারা নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিধিত্ব করি। বিএনপি একটি সর্ববৃহত্ত রাজনৈতিক দল। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির ভূমিকা কি, আপনারা সব জানেন। এই ১৫ বছরের মধ্যে অধিক সময় আমি আমার বাড়িতে থাকতে পারি নাই। আমি আপনাদের বলবো, যাদের সন্তান কুলাঙ্গার হয়ে গিয়েছিলো; তাদের সন্তানরা যাতে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ওই পথ থেকে ফিরে আসে।
এসময় স্থানীয় এলাকবাসী ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।