সমাবেশ মানেই হাজারও মানুষের সমাগম। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের সমাবেশে লাখো মানুষ ছাড়ায়। এবার সেই শামীম ওসমানের আয়োজিত সমাবেশে আসছেন আওয়ামী লীগের সভা নেত্রী শেখ হাসিনা।
শামীম অনুসারীরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে অন্তত ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। আর এটা হবে নারায়ণণগঞ্জে স্মরণ কালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেষ সমাবেশ ৪ জানুয়ারী করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর শেষ সমাবেশে লোকে লোকারণ্য দেখাতে বেছে নেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকাটিকে।
এখানে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাত্র ৬ দিন আগে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে আবারও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সমাবেশের সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে শামৗম ওসমান অনুসারীরা।
ইতোমধ্যে শামীম ওসমান জানিয়েছেন, অন্তত ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে ৪ জানুয়ারী। একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের পাশাপাশি মানুষ অবস্থান করবে চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে এ নেতার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। সংস্থাটির সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন মানে হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে। এসএসএফ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাদের সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে তার আগমনকে ঘিরে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ শহরে ফেস্টুন, ব্যানার ছেয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন।